আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির স্মরকলিপি


Momtaj Uddin Ahamad প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ৩:৪৬ অপরাহ্ন /
আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির স্মরকলিপি

এপিসি ডেস্ক:

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টম্বর) আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ:দ) রূপায়ন দেব এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা। সে সময় আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন ।

স্মরকলিপিতে শিক্ষকরা বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার ৯৭ ভাগ দায়িত্ব পালন করছি আমরা। কিন্তু বেতন-ভাতার দিক দিয়ে আমরা বৈষম্যের শিকার। দেশ স্বাধীনের পর ৫৩ বছর হলেও আমাদের বৈষম্যের অবসান হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ পেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষা উন্নয়নের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই দ্রুত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল মাদ্রাসা) জাতীয়করণ করতে হবে।

সারাদেশ ব্যাপী একযোগে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মরকলিপি পাঠিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। দাবী আদায় নাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে উল্লেখ্য করা হয় স্মরকলিপিতে।

আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সেলিমুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে দাবী জানিয়ে আসছি । এবার দাবী আদায়ে সরকারের উপদেষ্টা মহল দৃষ্টি-আর্কষণ না করলে শিক্ষকরা দাবী আদায় অনড় আবস্থান নিবে।

আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৭% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষকাগত যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। যা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। শিক্ষার সকল অংশীজনের প্রাণের দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ।

এদিকে ওই স্মরকলিপিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আগ পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির নেতারা।

স্মারকলিপি প্রদান কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আজিজুল হাকিম, অর্থ সম্পাদক এম কলিম উল্লাহ, শিক্ষক প্রতিনিধি বাবলুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক মোঃ ‍শাহ আলম প্রমুখ।