‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ পেলেন আলীকদম পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম দিদারুল আলম


Momtaj Uddin Ahamad প্রকাশের সময় : জুলাই ১৩, ২০২৩, ১:৩১ অপরাহ্ন /
‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ পেলেন আলীকদম পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম দিদারুল আলম

মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএফপিও) এম দিদারুল আলম জেলা পরিবার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। তিনিই বান্দরবানের 7টি উপজেলার মধ্যে এ সম্মাননা পেলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবানের অরুন সারকি হলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজিত শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরস্কারটি তার পিতা আনোয়ার মিয়া ও ভাতিজি সাবরিনা তাহাত্তম মহুয়া’র হাতে তুলে দেন বান্দরবান জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডাঃ অংচালু। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা।

এ শুদ্ধাচার পুরস্কারে রয়েছে নগদ অর্থ, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ। এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর ও বান্দরবান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

নিজ দপ্তরে কর্মব্যস্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম দিদারুল আলম।

শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা-২০২১ এর অনুচ্ছেদ ৩ এর উপানুচ্ছেদ ৩.৪ অনুযায়ী সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এ শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হন।

উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অফিস প্রধান নির্বাচিত হওয়া ও পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এম দিদারুল আলম বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সকলকে নিয়ে কাজ করার ফলেই এই পুরস্কার অর্জিত হয়েছে। এ প্রাপ্তি ভবিষ্যতে আমাকে কাজের প্রতি আরও বেশি দায়বদ্ধ এবং দায়িত্বশীল করে তুলবে। সামনের দিনগুলোতে নিজের সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও যোগ্যতা দিয়ে দেশ এবং মানুষের সেবা করতে নিজেকে আরও বেশি উৎসর্গ করে দিতে চাই।

তিনি এ শুদ্ধারচার পুরস্কারপ্রাপ্তিতে নিজ দপ্তরের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচএন্ডএফপি) ডা.বেলাল উদ্দিন আহম্মেদ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সুন্দর টিমওয়ার্ক ও দায়িত্ব পালনে পরিশ্রমের অবদান স্বীকার করেন।

এম দিদারুল আলম ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আলীকদমে যোগদান করেন। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের সাথে তার ইতিবাচক যোগাযোগের কারণে আসে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমে যায় জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পায় জনসেবার মান। ফলশ্রুতিতে আলীকদম পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে একাধিক কর্মচারী জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নানান পুরস্কারে ভূষিত হতে থাকে। আলীকদম পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়কে একটি উন্নত ও সেবামুখী দপ্তরে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তিনি।

তিনি ১৯৮৭ সালে ইউএফপিএ হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন। ইউএফপিএ হিসেবে রুমা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে প্রথম বারের মতো দায়িত্ব পালন করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে আলীকদম উপজেলায় যোগদান করে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।