‘কেন ফোটে কেন কুসুম ঝ’রে যায়!’ গানে নজরুলের আত্মজিজ্ঞাসা


Momtaj Uddin Ahamad প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০২৪, ৭:০৫ পূর্বাহ্ন /
‘কেন ফোটে কেন কুসুম ঝ’রে যায়!’ গানে নজরুলের আত্মজিজ্ঞাসা

।। মমতাজ উদ্দিন আহমদ ।।

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বয়স তখন ৩৪ বৎসর ১ মাস। তাঁর কবিখ্যাতি চরম তুঙ্গে। এ সময় তিনি আত্মজিজ্ঞাসা পর্যায়ের একটি গান লিখেন। গানটির কথায় বোধের গভীরতা ও আত্মজিজ্ঞাসার অসাধারণ ভাব ফুটে উঠেছে। গজল পর্যায়ের এ গানটি ‘পিলু-বারোয়াঁ’ রাগ এবং ‘কাহারবা’ তালের ঝংকারে গাওয়া হয়। এ গানের কথামালা পাঠ শেষে আমরা মূল আলোচনায় যেতে চাই। গানটি নিম্নরূপ:

‘কেন ফোটে কেন কুসুম ঝ’রে যায়!
মুখের হাসি চোখের জলে ম’রে যায়, হায়।।
নিশীথে যে কাঁদিল প্রিয় ব’লে
হায় নিশি-ভোরে সে কেন হায় স’রে যায়।।
হায় আজ যাহার প্রেম করে গো রাজাধিরাজ
কাল কেন সে চির-কাঙাল ক’রে যায়।।
মান-অভিমান খেলার ছলে
ফেরে না আর যে যায় চ’লে
মিলন-মালা মলিন ধূলায় ভ’রে যায়।।

গানটির রচনাকাল ও স্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে তাঁর ‘গুলবাগিচা’ গীতি-সংকলনের প্রথম সংস্করণে [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩] গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪০) মেগাফোন কোম্পানীর রেকর্ডিংয়ে শিল্পী ভবানী দাসের কণ্ঠে প্রথম গানটি রেকর্ড হয়।

হঠাৎ এ গানটি কথা বলার কারণ হচ্ছে ২৮ জুন ছিল আমার জন্মদিন। এ দিনটিতে ভোর থেকে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীর পাঠানো হৃদ্যতামূলক ম্যাসেজ ও ফেসবুক পোস্টের পর বারবার আমার গানটির কথা মনে পড়েছিল। সংক্ষিপ্ত এ মানব জীবন। মহাকালের হিসেবে এ জীবনটা ক্ষণিকের প্রকাশ। ক’টা দিনশেষে এ জীবনের আবার পরিসমাপ্তি! কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-

“রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি,
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি।
শান্তি কোথায় মোর তরে হায় বিশ্বভূবন-মাঝে,
অশান্তি যে আঘাত করে তাই তো বীণা বাজে।”

এ সংক্ষিপ্ত মানবজীবনে কত আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে মানুষের। কত দ্বন্ধ-সংঘাত, চাওয়া-পাওয়ার অপূর্ণতা ঘিরে থাকে মানুষের জীবন। জরা-রোগ-ব্যাধির যে পরিশ্রান্ত ভাব মানবজীবনে আসে তার একটি চিত্র ফুটে তুলেছেন উপরের গানটিতে আমাদের জাতীয় কবি।

আমার কাছে মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের প্রত্যেকটি গান যেন মহাকালের মহাবিস্ময়। গানের গভীরতা বুঝতে হলে নজরুলকে অনবরত অধ্যায়ন এবং দ্বীন-দুনিয়ার তাবৎ জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে জ্ঞান আহরণ ছাড়া নজরুলকে বুঝার উপায় নেই।

কবি বলেছেন, ‘কেন ফোটে কেন কুসুম ঝ’রে যায়! / মুখের হাসি চোখের জলে ম’রে যায়, হায়।।’

ফুল প্রাকৃতিক নিয়মে ফুটে, আবার ঝরে যায়। অন্যদের মতো কবিও তা জানতেন। কিন্তু এ গানে কবি প্রশ্ন করেছেন ‘কেন ফুটে কেন কুসুম ঝরে যায়।’ পরের ছত্রে কবি আক্ষেপ করে বলেন, মানুষের মুখের হাসি কেন ক্ষণে ক্ষণে চোখের পানিতে মরে যায়!

কাজী নজরুল ইসলাম জীবনকে যেভাবে উপলব্ধি করেছেন তার ধারে-কাছেও আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা অধিকাংশ মানুষের মাঝে নেই। তিনি ফুল ফোটা এবং ঝরে যাওয়ার ঘটনাকে মানবজীবনকে গৌণভাবে তুলনা করেছেন।

মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মে বাবার ঔরষে এবং মায়ের গর্ভে সঞ্চার হয়ে পৃথিবীতে ফুলরূপী ফোটে উঠে। আবার মহাকালের হিসেবে ক্ষণিকের সময় পার করে মরে যায়। মানুষের জীবনে দুঃখ আর অতৃপ্তির পাশাপাশি হাসির রেখাও ফুটে উঠে মাঝে মাঝে। পরক্ষণে আবার সেই হাসির রেখা চোখের পানিতে মিশে যায়!

গানের কথায় নজরুল যখন প্রশ্ন করেছেন ‘ফুল কেন ফুটে’। উত্তর পেয়েছিলেন কি কবি? এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান কি বলে?

রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানী গবেষণায় দেখেন যে, গাছের পাতা থেকে একটি রহস্যময় বস্তু বিটপ বা ডগায় যায়। সেই বস্তুর কারণে গাছে ডগার আগায় প্রথমে কুঁড়ির উদ্ভব হয়। সেই কুঁড়িই পরে ফুল হয়ে ফোটে। সেই রহস্যময় বস্তুটি হলো ‘ফ্লোরিজেন’ হরমোন।

বিজ্ঞানীরা বলেন, স্ব স্ব ফুল গাছের একটি জিন কিছু প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এ প্রোটিনের প্রভাবে গাছের কুঁড়ি বের হওয়া থেকে শুরু করে ফুল ফোটা নিয়ন্ত্রণ করে।

ফুল ফোটার এসব জৈবিক ক্রিয়াকলাপ ছাড়াও রয়েছে আর এক ধরনের পদার্থবিজ্ঞান বা ফিজিক্স। বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন, ফুল ফোটার ক্ষেত্রে শুধু জিন বা প্রোটিন নয়, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও মাটির অবস্থারও ভূমিকা রয়েছে। যেমন: কদম ফুল ফোটে আষাঢ়ে, শিউলি ফুল ফোটে শরতে। তবে জলবায়ুর পরিবর্তনহেতু এখন বিভিন্ন গাছে ফুল ফুটার ধরণও পাল্টেছে।

কাজী নজরুল ইসলাম কেন ফুল ফোটে আর কেন সেই ফুল ঝরে যায় বলে আক্ষেপ করেছেন। অপরদিকে, ইংরেজ কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থও ঠিক ভেবে পাননি, যে ড্যাফোডিলের রূপে তিনি এত মুগ্ধ, সেই ফুলগুলো ফোটার পেছনে রহস্যটা কী?

ফুল কি আদৌ ফোটার দরকার আছে? ফুল না ফুটলে কী হবে? এর উত্তরে বলা যায়, ফুল না ফুটলে ফল হবে না, ফল না হলে বীজ হবে না। বীজ না হলে ওসব গাছের বংশরক্ষা হবে না। গাছেরাও মানুষের মতো বংশ রক্ষা করতে চায়! এখনো গবেষণার ফলাফলে পুরোপুরি স্পষ্ট নয় যে, ঠিক কী কী কারণে বা কারণগুলোর মিলিত প্রভাবে ফুল ফোটে।

গানটির দ্বিতীয় ছত্রে বলা হয়েছে, ‘মুখের হাসি চোখের জলে ম’রে যায়, হায়।’ কবি এখানে আনন্দ কিংবা সুখের হাসির কথা বলেছেন। হাসি-কান্না মানুষের স্বভাবগত বিষয়। হাসি-কান্নার এ জীবন সংসারে মানুষের এক একটি মূহুর্ত ক্রমহ্রাসিত হয় জীবনের উত্থাল ঢেউয়ের বিক্ষুব্ধ তরঙ্গে। কেন হাসি মরে যায় বলতে কবি মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও রাশি রাশি বেদনার স্রোতকে বুঝিয়েন হয়তো।

জাতীয় কবির গান-কবিতার সব উপলব্ধি তিনি জীবন থেকে পেয়েছেন। নজরুলের শিশুপুত্র বুলবুলের বসন্ত হয়েছিল। বসন্তের গুটি সারা গায়ে ছড়িয়ে গেছে। প্রাণাধিক পুত্র বুলবুলের শারীরিক অবস্থায় নজরুল মুষড়ে পড়লেন। যে নজরুল সবসবয় প্রাণখোলা হাসির রোলে আশাপাশকে মাতিয়ে রাখতেন তা হারিয়ে গেলো! রোগে দিন দিন বুলবুল নিস্তেজ হচ্ছে। ওই সময়ে বুলবুল পিতাকে একটুও কাছছাড়া হতে দেয়নি। নজরুল তার শিয়রে বসে অনুবাদ করতে লাগলেন হাফিজের কবিতা। লিখলেন—

কী লাভ, যখন দুষ্ট ভাগ্য
হাসল নাকো মুখ ফিরিয়ে,
পেল না দিল্ সুখের সোয়াদ,
দিন কাটাল ব্যথাই নিয়ে!
যে ছিল মোর চোখের জ্যোতি,
পুত্লা আঁখির, গেছে চলে!
নয়ন-মণিই গেল যদি,
কী হবে এ নয়ন দিয়ে॥

রোগাক্রান্ত শিশুপুত্রের শিয়রে বসে অনুদিত কবিতায় কী ভাব ও অর্থ ফুটিয়ে তুললেন নজরুল। ভাবা যায়! তাই একমাত্র নজরুলের পক্ষেই লেখা সম্ভব ‘মুখের হাসি চোখের জলে ম’রে যায়, হায়।’ এটা কবির যথার্থ উপলব্ধি।

বুলবুল হৃদস্পন্দন থেমে যাবে! মৃত্যুর একদম কাছাকাছি বুলবুল। সে সময় নজরুল তার শয়নে বসে বসে অনুবাদ করছিলেন কবি হাফিজের কিছু রুবাইয়াৎ। ১৯৩০ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত ওই কাব্যগ্রন্থের নাম ছিল ‘রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ’।

শিশুপুত্র বুলবুলকে করা উৎসর্গপত্রে শোক সন্তপ্ত নজরুল লিখেছিলেন- ‘তোমার মৃত্যুর শিয়রে বসে বুলবুল-ই-সিরাজ হাফিজের অনুবাদ আরম্ভ করি। যেদিন শেষ করে উঠলাম, সেদিন তুমি আমার কাননের বুলবুলি- উড়ে গেছো। যে দেশে গেছো সে কী বুলবুলিস্তান, ইরানের চেয়েও সুন্দর? জানিনা তুমি কোথায়? যে লোকেই থাকো তোমার পিতার এই শেষদান, শেষ চুম্বন বলে গ্রহণ করো।’

গানের দ্বিতীয় ছত্রে কবি লিখেন-
‘নিশীথে যে কাঁদিল প্রিয় ব’লে
হায় নিশি-ভোরে সে কেন হায় স’রে যায়।।’        

গানের এই ছত্রের ভাবানুবাদের বিশেষ দরকার পড়ে না। এখানে মানুষের চিরায়াত প্রেম-ভালোবাসার অভিঘাতের ইঙ্গিত দিয়েছেন কবি। নজরুল আপাদমস্তক একজন মানবিক প্রেমিক সত্ত্বার মানুষ ছিলেন। তাঁর বিভিন্ন গানে-কবিতায় যেভাবে প্রেম ও বিরহ ধরা পড়েছে তার তুলনা খুব কম।

নজরুলের কাব্যে ও গানে প্রেম-বিরহ শুধু নারীর প্রতি ছিল না। স্রষ্টা, প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের প্রতিও তার দুর্বার আকর্ষণ ছিলো। নজরুল যে কত রোমান্টিক ছিলেন তার ছাপ এ গানেই পাওয়া যায়। যেমন: ‘মোর প্রিয়া হবে, এসো রাণী, দেব খোঁপায় তারার ফুল’। এ গানে নজরুল অসাধারণ কল্পনা বিলাসে সাজিয়েছেন নিজ প্রিয়তমাকে। প্রিয়াকে সাজাতে আপন মনের মাধুরী মিশিয়েছেন প্রকৃতির সুষমায়।

‘হায় নিশি-ভোরে সে কেন হায় স’রে যায়।’ গানের এই লাইনের ইঙ্গিত কবির নিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কবি নিশি-ভোরে তার প্রথম স্ত্রী নার্গিস একা পেলে নিজেই সরে এসেছিলেন। সে এক বিশাল-বিস্তৃত কাহিনী। এই সরে আসার ১৬ বছর পর নার্গিসের চিঠির উত্তরে কবি যে গানটি লিখেন সেটা এ যুগেও যেন প্রত্যেক ব্যর্থ প্রেমিকের আর্তধ্বনি-

যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পার নাই কেন মনে রাখ তা’রে।
ভুলে যাও মোরে ভুলে যাও একেবারে॥
আমি গান গাহি আপনার দুখে
তুমি কেন আসি’ দাঁড়াও সমুখে,
আলেয়ার মত ডাকিও না আর নিশীথ-অন্ধকারে॥

নজরুলের প্রেম পর্যায়ের গানগুলি বিরহ এবং আনন্দ বেদনার সমন্বয়ে রচিত। যেমন- ‘বঁধু মিটিল না সাধ ভালোবাসিয়া তোমায়, তাই আবার ভালোবাসিব ধরায়, মোর মনের প্রথম মুকুল, এসো প্রিয় মন রাঙায়ে, অঞ্জলী লহ মোর সংগীতে’ ইত্যাদি।

‘হায় আজ যাহার প্রেম করে গো রাজাধিরাজ
কাল কেন সে চির-কাঙাল ক’রে যায়।।’

নজরুল শুধু মানব প্রেমে লীন হননি। তার গানে কবিতায় ঐশী প্রেমে উত্তরণের যে ধাপগুলো আমরা দেখি তা গভীর আধ্যান্তিকতায় উৎকীর্ণ। মানব প্রেমের মধ্য দিয়ে নজরুল দেখেছিলেন স্রষ্টা ও সৃষ্টির রূপ। অবলোকন ও অবগাহন করেছেন স্রষ্টার প্রেম সাগরে। তার সে সাধনা ছিলো নানানমুখী। আধ্যাত্মবাদও ছিলো প্রেম-বিরহ ও ধর্মীয় গান রচনার পাথেয়। নজরুলের গানের আধ্যান্তিক সাধনা ও উপাসনা ছিলো অত্যন্ত তীক্ষ্ম ও শানিত।

‘মান-অভিমান খেলার ছলে
ফেরে না আর যে যায় চ’লে
মিলন-মালা মলিন ধূলায় ভ’রে যায়।।’

নজরুলের প্রেমের কবিতা-গানে অভিমানের পঙক্তি নানানভাবে দেখা যায়। অভিমানী নজরুলের গান ও সংগীত চেতনা ছিলো নিতান্তই বিয়োগান্তক। যেমন: “শত কাঁদিলেও ফিরিবে না সেই / শুভ লগনের বেলা।” একমাত্র নজরুলই তার প্রিয়তমার উদ্দেশ্যে এ কথা অকপটে উচ্চারণ করেছেন। বিদ্রোহী কবি নজরুল তার প্রেমেও আপোষকামী ছিলেন না।

অভিমানী নজরুল কখনো প্রেয়সীর সঙ্গে মিলনাত্মক ছিলেন না। তাই তিনি গেয়েছেন- “ভুলে যাও, মোরে ভুলে যাও একেবারে।’ এই অভিমানী নজরুলের কাছে যখন তার প্রেয়সী ভুল চাইতে এসে দাঁড়ায় সম্মুখে তখন কবি ডুকরে কেঁদে উঠছেন বা ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন এই বলে- “দয়া করো / দয়া করো, আর আমারে লইয়া খেলো না নিঠুর খেলা।”

মানব-মানবীর শাশ্বত প্রেমকে নজরুল মান-অভিমান, বিহর-কান্না আর ভাবের তরঙ্গে যেভাবে উদ্বেলিত করেছেন তা প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমিকার সরাসরি ব্যক্তিগত দেওয়া-নেওয়ার ব্যর্থতা থেকে সৃষ্ট একটি জ্বালা। বেদনাদীর্ণ কবির প্রেমচিত্তে না-পাওয়ার বেদনাকে রূপান্তর করেছে অভিমান থেকে ক্ষোভে।

নজরুলের প্রথম প্রেমিকা বঁধু নার্গিস নাকি বহু বছর পরে নজরুলকে লন্ডন থেকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেটির উত্তর নজরুল কোনদিন দেন নি। এই গানটা শেষ হচ্ছে, প্রেমিকের সেই আপসহীন অবস্থান দিয়ে: “আমি কি ভুলেও কোন দিনও / এসে দাঁড়ায়েছি তব দ্বারে”?

‘ফেরে না আর যে যায় চ’লে / মিলন-মালা মলিন ধূলায় ভ’রে যায়’ গানের ছত্রে অভিমানী নজরুল প্রেমের ক্ষেত্রে নিজের আপোষহীনতার ইঙ্গিত হয়তো দিয়েছেন।