প্রস্তুতির সময় কাকতালীয়ভাবে লরেট ম্যানদেরসিলহাটরা নামের এক মালাগাছি ভদ্রলোককে পেয়ে গেলাম। ভদ্রলোক তখন ঢাকায়ই থাকতেন। অদ্ভুত কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। রসুনের আচার তাঁর খুব প্রিয়। ই–মেইলের মাধ্যমে প্রথম যোগাযোগে যখন জানলাম, তিনি মাদাগাস্কারের নাগরিক, ঢাকায়ই আছেন, তখন মনে হলো, এর চেয়ে বড় কোনো উপহার আমাদের জন্য হতে পারে না। দেখা করা হলো। পরিচয়ের সময় তাঁর নামটা উচ্চারণ করতে পারলাম না। নিজেই বলে দিলেন, তাঁর শর্ট নেম লোলো। যাক বাবা! অন্তত একটা নামে তো ডাকা যাবে।
লোলো এনজিওকর্মী। কাজের সূত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থেকেছেন। বাংলাদেশেও সে কারণেই আছেন। আমরা ঠিক কী করতে চাইছি, তাঁকে বোঝাতে খুব বেশি বেগ পেতে হলো না। দুই সপ্তাহ মাদাগাস্কার কেন, কোনো দেশের জন্যই যথেষ্ট নয়। আর আমরাও কোনো বিশাল অভিযানের পরিকল্পনা করিনি। তেমন আগ্রহও আমাদের ছিল না। আমাদের রাস্তার পরিকল্পনা তাঁর সঙ্গেও মিলে গেল। এদিকেই ছোট শহর বেশি পড়বে। মাদাগাস্কারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তমাসিনাও এ পথেই। তমাসিনায় সমুদ্রবন্দর আছে। তাই সে অবধি রাস্তা সবচেয়ে ভালো। পুরোটাই পাকা। এসবও বললেন লোলো।
আপনার মতামত লিখুন :